জিয়া লাইব্রেরি ডেস্ক : খুব সম্ভবত দিনটি ছিল ৭ ই এপ্রিল, কালুরঘাট ব্রীজের পাশে আমরা অবস্থান নেই। পাক আর্মি খবর পেয়ে যায় মেজর জিয়া তার বাহিনীর সাথে আছেন। যুদ্ধ কালীন পুরা সময় টি পাক আর্মির কাছে এক নাম্বার টার্গেট ছিল মেজর জিয়াউর রহমান। পারলে আটক করা অথবা হত্যা করা। তারা ভুলেনি কে রেডিওতে পুরা পাক বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। পাক আর্মি তার সমস্ত শক্তি এক করে কালুরঘাট ব্রীজ এলাকায় শেল বর্ষন শুরু করে, সাথে গুলি তো আছেই, সেদিন ওই এলাকায় আকাশের বৃষ্টির ফোটার মত পাকিস্তানী শেল বর্ষিত হচ্ছিল।
সামনে, পেছনে, ডানে, বায়ে সব দিকে গুলি। আমি জিয়াউর রহমানকে বললাম, “স্যার আপনি কোন বাংকারে চলে যান।”
তখন তিনি আমার দিকে ফিরে বললেন, “ If a bullet has my name written on it, it will find me whenever. I will not to inside any Bunker. That will discourage my troops, we must led by example, not Just by command”
যদি একটি বুলেটের উপরে আমার নাম লেখা থাকে, তবে এটি আমাকে খুঁজে পাবে যেখানেই থাকি।আমি কোনও বাংকারের ভিতরে যাবোনা। এটা আমার সৈন্যদের নিরুৎসাহিত করবে, আমরা উদাহরণ দ্বারা পরিচালিত হব,
শুধু কমান্ড দ্বারা না”
২৫শে মার্চ বিদ্রোহ ঘোষনার পর আমরা ৩০০ যোদ্ধা নিয়ে চিটাগাং ত্যাগ করে কালুরঘাটের উদ্দ্যেশ্য রওনা দেই, সেদিন তার বাসার পাশ দিয়ে এই বাহিনী চুপিসারে বের হয়ে যাচ্ছিল, আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম স্যার বাসায় তো ভাবী আছে এক মিনিটের জন্য হলেও দেখা করতে পারেন।
জিয়াউর রহমান চলতে চলতেই উত্তর দেন, “তাহলে বাকী এ ৩০০ সৈন্যের পরিবারের কি হবে? সামনের দিকে এগিয়ে চল, তাদের আল্লাহ দেখবেন”
লেখক:
ক্যাপ্টেন (বাংলাদেশ আর্মি দিয়ে পরে জেনারেল হিসাবে অবসর নিয়েছেন) শমসের মবিন চৌধুরী তার এক স্মৃতি কথায়, যুদ্ধ কালীন সময়ে ইনি জিয়ার অধীনে যুদ্ধ করেন।
১১ ই এপ্রিল এক সন্মুখ যুদ্ধে আহত হয়ে পাকিস্তান আর্মির কাছে বন্দী হন যুদ্ধবন্দী হিসাবে স্বাধীনতার পর তিনি মুক্তি পান।