জিয়া লাইব্রেরি ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞানুসারে স্বাস্থ্য মানে কেবল চিকিৎসা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নয়, বরং স্বাস্থ্যকে একটি অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করে একটি পরিপূর্ণ শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতা নিশ্চিত করা। এ অবস্থানটির সূত্রপাত হয় ১৯৭১ সালে, হার্ভার্ড বিশ^বিদ্যালয়ের বিশ্ববিখ্যাত রাজনৈতিক দর্শনের অধ্যাপক জন রল্সের ’সামাজিক ন্যায়বিচার’ ধারণার উন্মেষ থেকে। সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক বৈষম্য নিরসন–এসব বিষয়কে জনমানুষের মুক্তির শর্ত হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। প্রণিধানযোগ্য যে, সেই সত্তরের দশকে ’সামাজিক ন্যায়বিচার’ শব্দটি একটি অ্যাকাডেমিক জার্গন হিসেবে তখনো বিশ^ব্যাপী পরিচিতি বা প্রতিষ্ঠা পায়নি। বর্তমানকালে জেরেমি করবিনের ব্রিটিশ লেবার পার্টি, বার্নি স্যান্ডার্স প্রভাবিত মার্কিন ডেমোক্র্যাটগণ এবং গোটা ইউরোপ বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয় দেশগুলোতে নব্য বামপন্থিগণ যেভাবে ’সামাজিক ন্যায়বিচারে’র ধারণাকে তাদের পার্টির মূলমন্ত্র বানিয়েছে, সেই সোভিয়েত-শঙ্কিত বিশ্বে তা তখনও ঘটে ওঠেনি। ভাবলে বিস্মিত হতে হয়, ইউরোপ আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গনে যে আধুনিক চিন্তার অভিঘাত তখনো লেগে উঠতে পারেনি, সেটাই ঘটেছিল দক্ষিণ এশিয়ার সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ বাংলাদেশে। আর তা ঘটেছিল এক অসাধারণ প্রজ্ঞাবান, বিশ্ব রাজনৈতিক-দর্শন সচেতন, গণমুখী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে।
বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে ’সামাজিক ন্যায়বিচার’ অভিধার সংযোজনকে কোন কাকতালীয় ঘটনা কিম্বা অপরিকল্পিত বাগাড়ম্বর ভাবার কোন কারণ নেই। আমরা জানি, বাংলাদেশের তৎকালীন তো বটেই, সমসাময়িক রাজনীতিবিদদের তুলনায়ও শহীদ জিয়া ছিলেন উল্লেখযোগ্যভাবে প্রাগ্রসর চিন্তা চেতনার অধিকারী। তাঁর পড়াশোনা এবং জ্ঞানের পরিধিও ছিল ব্যাপক। ইংরেজিতে তুখোড় এ রাষ্ট্রনায়ক আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত বেস্ট সেলার গ্রন্থ জন রল্সের ’এ থিওরি অফ জাস্টিস’ পড়ে প্রভাবিত হয়ে তাঁর সময়ের তুলনায় বহু আগেই যে এমন একটি ধারণার সংযোজন বাংলাদেশের সংবিধানে ঘটাবেন, তা অসম্ভব মনে হয় না। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে যে অভূতপূর্ব সংস্কার তিনি সাধণ করেছিলেন, তা থেকে তাঁর এমন অগ্রগামী চিন্তার পরিচয় পাওয়া যায়। বিশ^ব্যাপী সামাজিক ন্যায়বিচারের ধারণার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায় স্বাস্থ্য খাতে। কারণ, ১৯৭৮ সালের আলমা আতা ঘোষণার (যা ’প্রাইমারি হেলথ কেয়ার’ তথা ’২০০০ সাল নাগাদ সবার জন্য স্বাস্থ্য’ নামে পরিচিতি পেয়েছিল–একটু বয়সী পাঠকদের মনে থাকবে) আগ পর্যন্ত স্বাস্থ্য ছিল মূলতঃ পয়সাওলা মানুষদের ক্রয়যোগ্য পণ্যের মতো, ঠিক অধিকার নয়। সেখানে সামাজিক ন্যায়বিচার ধারণার প্রবর্তনের ফলে স্বাস্থ্য পেল গণমানুষের অধিকারের মর্যাদা। গৌরবের বিষয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বকালীন বাংলাদেশ ছিল আলমা আতা ঘোষণার অন্যতম স্বাক্ষরকারী এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি উজ্জ্বল মডেল। তাঁর এবং পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার সময়কালে নেওয়া স¦াস্থ্যখাতের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলো নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে জনগণের স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত ২০০০ সালের মধ্যে ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য অবকাঠামো গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পল্লীর জনগণ যেন সুচিকিৎসা পায় সেজন্য তিনি চীনের ‘বেয়ারফুট ডক্টর’দের আদলে পল্লী চিকিৎসক ব্যবস্থা প্রবর্তণ করেন। ফলে মাত্র এক বছরেই প্রশিক্ষণ পান ২৭ হাজার পল্লী চিকিৎসক। তাঁর প্রচেষ্টায় সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া ও এ সংক্রান্ত অবকাঠামো উন্নয়নে আজকের বিশ্বখ্যাত জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ও হাসপাতাল (National Institute of Cancer Research and Hospital, NICRH) প্রতিষ্ঠিত হয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আগ্রহ ও ঐকান্তিক ইচ্ছায় বিশেষ অধ্যাদেশের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ডায়রিয়া চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য গবেষণায় অনন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর-বি। এটি কলেরা হাসপাতাল নামেও সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত। এছাড়া জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, নিপসম (NIPSOM: National Institute of Preventive and Social Medicine) এবং সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি, ইপিআই (EPI: Expanded Program on Immunization) প্রতিষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট জিয়ার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতাতেই। ১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল ইপিআই থেকে বাংলাদেশে এক বছরের কম বয়সী সকল শিশুদের বহুল সংμামক রোগ যক্ষা, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, হাম, পোলিও-মায়েলাইটিস এবং মা ও নবজাতকের ধনুষ্টংকার রোগের টিকা দেওয়া শুরু হয়।
শহীদ জিয়া উপলব্ধি করেছিলেন যে, আলমা আতা ঘোষণার আলোকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা (PHC) বাস্তবায়নের মূল লক্ষ্য হলো গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণের ধারনাটির প্রবর্তন এবং তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ তিনিই প্রথম নিয়েছিলেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে তৎকালীন থানা ডিসপেন্সারিসমূহকে আধুনিক থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উত্তরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন শহীদ জিয়া। ছয়টি উপজেলায় তিনি পরীক্ষামূলকভাবে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার পাইলট প্রজেক্ট উদ্বোধন করেন, যার হাত ধরেই বাংলাদেশ আজকে বিশে^র মধ্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অবকাঠামোগত নেটওয়ার্ক থাকার গর্ব করে। ১৯৭৭ এবং ১৯৭৯ সালে ডিরেক্টরেট অফ নার্সিং সার্ভিসের রিμুটমেন্ট রুলস বা নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭৭ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারের মাধ্যমে ডিরেক্টরেট অফ নার্সিং সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠা করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৮১ সালের ৫ জানুয়ারি শহীদ জিয়া নার্সদের উচ্চশিক্ষার দ্বার খুলে দিতে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ কলেজ অব নার্সিং যা তাঁর দূরদর্শীতার পরিচয় বহন করে। ভালো চিকিৎসক গড়ার পাশাপাশি ভালো নার্স তৈরির জন্য তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০টি নার্সিং ট্রেনিং সেন্টার। এছাড়া মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিংয়ের জন্য ১৪টি মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (MATS) প্রতিষ্ঠা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশপ্রেমিক জিয়া।
এছাড়া শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান, পিজি হাসপাতালের সি-ব্লক, জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (National Institute of Population Research and Training, NIPORT), হৃদরোগ ইন্সটিটিউট, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ চিকিৎসকদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান বিএমএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার গঠন মহান নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আরেক কীর্তি। উক্ত ক্যাডার গঠনের মাধ্যমে তিনি চিকিৎসকবৃন্দকে জনগণের সেবায় নিয়োজিত এবং সুসংগঠিত বাহিনীতে পরিণত করেন। স্বাস্থ্য পরিচালকের (ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসেস) পদকে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের (ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস) পদে উনড়বীতকরণ জিয়াউর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান, যা দুঃখজনকভাবে আজ আর বেশি মানুষ জানেনা বা উল্লেখ করেনা। স্বাস্থ্যসেবা খাতে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারও তাঁর শাসনামলে অনেক ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন। উপজেলা হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যা ৩১ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়, নতুন জেলা শহরে শয্যাসংখ্যা ৫০ থেকে ১০০ এবং পুরানো জেলা শহরের হাসপাতাল ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উনড়বীত করা হয় তার শাসনামলেই। বহু সংখ্যক হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়। এক বছরের কম বয়সী শতকরা ৮৫ ভাগ শিশুকে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। তাছাড়া ১৯৯২ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজসহ পাঁচটি নতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৩ সালে ইপিআই থেকে মা ও শিশুদের হেপাটাইটিস রোগের টিকা দেওয়া শুরু হয়। সরকারি পদক্ষেপের কারণে দেশের শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুর হার μমান্বয়ে হ্রাস পায় সেই সময়ে।
উল্লেখ্য, চিকিৎসকদের চাকরিতে নিয়োগদানের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছরে উন্নীত করে বিএনপি সরকার। এছাড়াও স্বাস্থ্য জনসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রথম হিউম্যান রিসোর্স স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন করা হয় বেগম খালেদা জিয়ার শাসনকালে, ২০০৩ সালে। এর বদৌলতে স্বাস্থ্য সেবাপ্রদাকারীদের দায়বদ্ধতা, কর্মদক্ষতা, নিয়োগ, জনসম্পদ তথ্য ব্যবস্থাপনা (হিউম্যান রিসোর্স ইনফরমেশন সিস্টেম) ইত্যাদি বিষয়ে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার রাস্তা খুলে যায়। ২০০৬ সালে ঢাকা ডিক্লিয়ারেশনের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় অঞ্চলে স্বাস্থ্য জনসম্পদ উনড়বয়নের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। একই সময়ে (২০০৬ সালে) বিএসসি নার্সিংয়ের জন্য অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়, যার ফলশ্রুতিতে বিএসসি নার্সদের চাকরি ও পেশাগত বিকাশের রাস্তা, যা দীর্ঘদিন আটকে ছিল, তা খুলে যায়। এর বাইরেও বেগম খালেদা জিয়ার ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালের শাসন আমলে গৃহীত ইমার্জেন্সি অবস্টেট্রিক কেয়ার (ইওসি) প্রজেক্ট প্রসূতি নারীদের স্বাস্থ্যের উন্নতি ও মৃত্যুরোধে রাখে অনবদ্য অবদান। ১৯৯৫ সালের বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড নিউট্রিশন প্রজেক্ট (বিআইএনপি) পুষ্টির ক্ষেত্রেও রাখে অনুরূপ অবদান। তাঁর পরবর্তী শাসনামলে (২০০১ থেকে ২০০৬ সাল) ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অফ চাইল্ডহুড ইল্নেস (আইএমসিআই) শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উনড়বয়ন এবং শিশুমৃত্যু হ্রাসের জন্য বিশ^ব্যাপী প্রশংসিত হয়। এছাড়া মাতৃ ও শিশু শিশুমৃত্যু হার হ্রাসের জন্য ডিমান্ড সাইড ফাইন্যান্সিং স্কিমও বেগম খালেদা জিয়ার উভয় শাসনকালে স্বাস্থ্য খাতের অন্যতম ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ। দেশের মানুষ যেখানে স¦াস্থ্য ব্যয় নির্বাহে হিমশিম খায়, এই স্কিমের মাধ্যমে সেবাকেন্দ্রে আসা নারীদেরকে উল্টো প্রণোদনামূলক অর্থ প্রদান করা হয় যাতে তারা উন্নত সেবা নিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে আসতে আগ্রহী। তাঁর শাসনআমলগুলোতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছিল।
বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য, চিকিৎসা, স্বাস্থ্যনীতি ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি দরদ দিয়ে ভূমিকা রেখেছে বিএনপি। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের প্রায় প্রত্যেকটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক বিএনপির অবদান। আমরা দেখেছি সেই আলমা আতা ঘোষণার আলোকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রণয়ন থেকে শুরু করে, ইপিআই, ইওসি, বিআইএনপি, আইএমসিআই পর্যন্ত যতগুলো আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য নীতিমালা রয়েছে, তার প্রায় প্রত্যেকটিই বিএনপির কোন না কোন শাসনামলে প্রণীত। আজকে বাংলাদেশ স্বল্প ব্যয়ে উনড়বত স্বাস্থ্য (Good health at low cost), প্রাথমি স্বাস্থ্য সেবা, ভ্যাক্সিন হিরো ইত্যাদি নানা অর্জন নিয়ে বিশে^র দরবারে গর্ব করে। এই সবই সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সামাজিক ন্যয়বিচার ভিত্তিক নীতিগত অবস্থানের কারণে। এ দলটি কেবল জাতীয় সংবিধানে সামাজিক ন্যয়বিচারের অভিধাটি যুক্ত করেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং তা স্বাস্থ্য খাতে বাস্তবায়ন করেও দেখিয়ে দিয়েছে, বিএনপি কেবল কথায় নয়, বরং কাজে বিশ্বাসী।
– ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার ও ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম