জিয়া লাইব্রেরি ডেস্ক : জিয়াউর রহমানের ‘বীর-উত্তম’ খেতাব বাতিলের বিষয়টি অযাচিত, অপ্রাসঙ্গিকভাবে জাতির সামনে এসেছে। এতে জাতি বিব্রত। তার ‘বীর-উত্তম’ খেতাব বাতিলের বিষয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের কিছু নেই। এটি ঐতিহাসিক দালিলিক সত্য।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের অবদান হিসেবে সর্বমোট ৬৮ জনকে বীর-উত্তম খেতাব দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে জিয়াউর রহমান বাদে সবাই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন। একমাত্র তিনিই বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে থেকে যুদ্ধ করেছেন। সবচেয়ে বেশি বীর-উত্তম খেতাবও পেয়েছেন তার জেডফোর্সের যোদ্ধারা।
তিনি বলেন, আমি আশা করেছিলাম, স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর সংবর্ধনা দেবে। কারণ জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবের নেতৃত্বকে মেনে সবাইকে যুদ্ধে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আল-জাজিরায় প্রচারিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আওয়ামী লীগ তো বহু কিছু হজম করে ফেলেছে। এ প্রতিবেদন কেন হজম করতে পারছে না? ‘আপনারা পারলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি যে মিথ্যা, সেটি প্রমাণ করুন। আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে কোনো লাভ নেই। বাংলাদেশে বন্ধ থাকলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে তো আল-জাজিরার সম্প্রচার চলমান থাকবে।’
এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন মনি, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের চেয়ারম্যান ডা. মাসুদ হোসেন প্রমুখ।