দূর্ভাগ্যঃ নজরুল ও জিয়া

জিয়া লাইব্রেরি ডেস্ক : ২৪ মে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন। এই মে মাসের ৩০ তারিখ মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার শহীদ হবার দিন বটে। এ সুযোগে আসুন দেখি দু’জনের স্বাধীনতা’র আহ্বান সংক্রান্ত দুটি দূভার্গ্যজনক মিল।
ভারতবর্ষ’র পূর্ণ স্বাধীনতা’র ডাক প্রকাশ্যে, পত্রিকা-তে সম্পাদকীয় লিখে সবার আগে দিয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
তাঁর সম্পাদিত ধূমকেতু পত্রিকা’র ১৩তম সংখ্যা-তে আসে মহা-বিদ্রোহ’র ডাক। তবে উপমহাদেশের স্বাধীনতা ইতিহাসবেত্তারা ভুলেও নজরুলের নাম নেন না। মোচলমান(!) কবিতা লেখে, দেশের জন্য লড়াই করে, এটা মানতে অনেক প্রগতিশীল দের খুব অসহায়-বোধ হয়। নজরুল বুঝতেন বিষয়টি। তাই লিখেছিলেনঃ
মৌ-লোভী যত মৌলবী আর মোল্লা’রা কন হাত নেড়ে
দেব-দেবী নাম মুখে আনে, দাও পাজিটার জাত মেরে!
ফতোয়া দিলাম কাফের কাজী ও, যদিও শহীদ হইতে রাজী ও। আমপারা পড়া হামবড়া মোরা এখনো বেড়াই ভাত মেরে
হিন্দুরা ভাবে, পার্শী-শব্দে কবিতা লেখে, ও পাত-নেড়ে
আনকোরা যত নন্‌ভায়োলেন্ট নন্‌কো’র দলও নন্‌ খুশী
‘ভায়োরেন্সের ভায়োলিন্‌’ নাকি আমি, বিপ্লবী-মন তুষি!
‘এটা অহিংস’, বিপ্লবী ভাবে, ‘নয় চরকার গান কেন গাবে?’ গোঁড়া রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতিরাম ভাবে কনফুসি। স্বরাজীরা ভাবে নারাজী, নারাজীরা ভাবে তাহাদের আঙ্কুশি!
তাঁকে স্বীকার করা না করাতে, কিছু তাঁর আসে যায় না। বরং ক্ষতি-টা হয় দেশ জাতি ও মানবতার।
নজরুল কৈফিয়ৎ দিয়ে বলছেন-
বন্ধু গো, আর বলিতে পারি না, বড় বিষ-জ্বালা এই বুকে! দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে। রক্ত ঝরাতে পারি নাত একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা, বড় কথা বড় ভাব আসে না ক’ মাথায়, বন্ধু, বড় দুখে! অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু, যাহারা আছ সুখে!
পরোয়া করি না, বাঁচি বা না বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে। মাথায় উপরে জ্বলিছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে। প্রার্থনা করো যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস, যেন লেখা হয় আমার রক্ত লেখাই, তাদের #সর্বনাশ
দলীল টা দেখুনঃ স্বাধীনতার ডাক। এর আগে কেউ এমন বলতে সাহস করেছেন, প্রমাণ দিতে পারবে কোন প্রগতিশীল? প্রামাণ্য যুক্ত করলাম। শ্রদ্ধেয় Irshad Ahmed স্যারের গবেষণা থেকেঃ

জিয়া লাইব্রেরী অনলাইন
Logo