অনন্য রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান

জিয়া লাইব্রেরি ডেস্ক : বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কিত দিন। ১৯৮১ সালের আজকের এইদিনে বাংলাদেশবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে ইতিহাসের এক ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ডের শিকার হন সমসাময়িক রাজনীতির অন্যতম আলোচিত ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান। এটি বলতে দ্বিধা নেই যে, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাসহ বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য জাতির ইতিহাসে জিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

শহীদ জিয়া ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়। ১৯৫২ সালে তিনি করাচি একাডেমি স্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি করাচিতে ডি. জে. কলেজে ভর্তি হন। একই বছর তিনি কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৫৫ সালে সামরিক বাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন চৌকস অফিসার হিসেবে তার চাকরি জীবন শুরু করেন। তিনি আগাগোড়াই একজন সাহসী, কর্মঠ ও দায়িত্বপরায়ণ সেনা কর্মকর্তা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। করাচিতে দু’বছর চাকরি করার পর ১৯৫৭ সালে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে বদলি হয়ে আসেন। তিনি ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে খেমকারান সেক্টরে অসীম সাহসিকতার জন্য বীরত্বসূচক পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে ইনস্ট্রাক্টর পদে নিয়োগ লাভ করেন। একই বছর তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটার স্টাফ কলেজে কমান্ড কোর্সে যোগ দেন।

 

১৯৬৯ সালে তিনি মেজর পদে পদোন্নতি পেয়ে জয়দেবপুরে সেকেন্ড ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গভীর রাতে ঘুমন্ত নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর বর্বর হামলা চালিয়ে তাদের নির্বিচারে হত্যা শুরু করে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। সে রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বর্বর পাকিস্তানি হানাদার সেনাবাহিনী কর্তৃক বন্দি হন। তৎকালীন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ চলে যান আত্মগোপনে। জনগণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। এই সংকটময় মুহূর্তে জিয়াউর রহমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাক্কালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তিনিই সর্বপ্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান করার জন্য নিজ নামে জেড ফোর্স গঠন করেন। এছাড়া ১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি পুনরায় সেনাবাহিনীতে ফিরে যান এবং ১৯৭২ সালে সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ হিসেবে পদন্নোতি প্রাপ্ত হন। ১৯৭৩ সালের শেষের দিকে তিনি মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অনন্যসাধারণ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সংঘটিত ইতিহাসের এক নৃশংস হত্যাকাÐের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পট পরিবর্তের পর ক্যু ও পাল্টা ক্যুর মাধ্যমে দেশ যখন চরম রাজনৈতিক সংকটে নিপতিত, তখন জিয়াউর রহমান আবার দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব ও সংহতির মধ্যদিয়ে তিনি গৃহবন্দি হতে মুক্তি পেয়ে জনগণের আশা আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রশ্নাতীত জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা তাকে রাষ্টীয় ক্ষমতায় আসীন করে। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালের ২৩ জুন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম.এ.জি. ওসমানিকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এখানে বলে রাখা ভালো যে, ১৯৭৫ সালের ১০ জানুয়ারি তৎকালীন সরকার সংবিধানের ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল তথা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে। মাত্র ৪টি পত্রিকা রেখে সকল পত্রিকার প্রকাশ নিষিদ্ধ করে। বাকশাল প্রবর্তনে রুষ্ঠ সাধারণ মানুষ গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনে ব্যাকুল ছিল। রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান সংশোধন করে পুনরায় সংসদীয় গণতন্ত্রে পুনঃপ্রত্যাবর্তনের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। জিয়াউর রহমান জনমতের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে বাকশাল বাতিল করে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। গণমাধ্যমের উপর থেকে সকল কালাকানুন প্রত্যাহার করে নেন।

জিয়া নিজে ৫ম সংশোধনীর পর ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন এবং তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ১৯ দফা কর্মসূচি অনুযায়ী বাংলাদেশে উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির এক নতুন ধারা প্রবর্তন করেন। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র অফিসার হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করলেও যোগ্যতা, মেধা, সততা ও ন্যায়পরায়ণতা দিয়ে সবার মন জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। দেশের প্রতিটি ক্রান্তিকালে জাতি তাঁর অবদান আজও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। শহীদ জিয়া আগাগোড়াই ছিলেন একজন সৎ, কর্মদক্ষ, ন্যায়পরায়ণ রাষ্টনায়ক। সততার মাপকাঠিতে তিনি আজও অনন্য ও অদ্বিতীয়। তিনি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়েই দেশের চলমান অবনতিশীল আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি করেন। শক্তহাতে চুরি, ডাকাতি ও দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরেন।

 

অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। তিনি গ্রামীণ অর্থনীতির চাকাকে সচল করার জন্য ১৯৭৫ সালের শেষের দিকে যশোরের ‘উলশী’ গ্রাম থেকে স্বনির্ভর আন্দোলন কর্মসূচির সূচনা করে গ্রামীণ জনপদের প্রতিটি মানুষকে স্বনির্ভর হতে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি দেশের ৬৮ হাজার গ্রামের প্রতিটিকে এক একটি স্বনির্ভর ইউনিট হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে স্বনির্ভর আন্দোলনের সাথে কৃষি, সেচ, বৃক্ষরোপণ, গৃহনির্মাণ, বিদ্যুতায়ন, স্বাস্থ্যরক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা এবং আইনশৃংখলা ব্যবস্থাকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। খাদ্যে স্বাবলম্বী হবার বিষয়টিকে জিয়াউর রহমান তাঁর জাতীয় নীতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।

খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করাকে স্বনির্ভর আন্দোলনের সোপান হিসেবে মনে করতেন জিয়াউর রহমান। এ লক্ষ্যে তিনি খাল খনন করে শুষ্ক মৌসুমে সেচ ব্যবস্থা সচল করা, একই জমিতে একাধিক ফসল ফলানো, পতিত জমিতে চাষাবাদে গুরুত্বারোপ করেছিলেন। চাষাবাদে নিরবিচ্ছিন্ন সেচ নিশ্চিতকরণে তাঁর আমলে প্রায় ৯০০ মাইল দীর্ঘ খাল খনন করা হয়। জিয়াউর রহমার স্বনির্ভরতার লক্ষ্য অর্জনের পরিপূরক হিসেবে গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। ১৯৮০ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে তিনি এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। গণস্বাক্ষরতা কর্মসূচির মাধ্যমে খুব স্বল্প সময়ের মধ্য দেশে প্রায় ৪০ লক্ষ নিরক্ষর মানুষকে অক্ষর জ্ঞান প্রদান করা হয়। ১৯৮৫ সালের মধ্যে দেশের স্বাক্ষরতার হার ৮০% উন্নীতকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরতা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। জিয়াউর রহমান দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে দেশের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ‘এক ছেলে এক মেয়ে’ ধারণাকে ‘নীতি ও আদর্শ’ হিসেবে প্রচার করেন। এ লক্ষ্যে ১৯৭৬ সালে গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ৩৮ হাজার পরিবার পরিকল্পনা কর্মী নিয়োগ করেন। ক্ষমতাকে তৃণমূল পর্যন্ত বিকেন্দ্রীকরণ করার জন্য ১৯৮০ সালের ৩০ মে আনুষ্ঠিকভাবে গ্রাম সরকার প্রথা চালু করেন। ১৯৮০ সালের ২১ জুন মহান জাতীয় সংসদে গ্রাম সরকার বিল উত্থাপন করা হয় এবং তা একই দিনে অনুমোদিত হয়।

১৯৭৮ সালের এক জরিপে দেখা যায় যে, দেশের প্রায় ২২% যুবক। হতাশা, সন্ত্রাস ও বেকারত্ব থেকে যুব সমাজকে উন্নয়নের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার মানসে জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ১৮-১৯ ফেব্রæয়ারি দু’দিন ব্যাপী ঢাকার শেরে বাংলা নগরে জাতীয় যুব সস্মেলন আয়োজন করেন। যুব সমাজকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগানোর জন্য ১৯৭৮ সালে তিনি দেশে প্রথমবারের মতো যুব মন্ত্রণালয় চালু করেন। জেলায় জেলায় চালু করেন যুব কমপ্লেক্স। গ্রাম প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেশের উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হওয়া সত্তে¡ও তা ছিলো অবহেলিত। গ্রামের মানুষের অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ১৯৭৬ সালে তিনি ভিডিপি বা গ্রাম প্রতিরক্ষা দল গঠন করেন। শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য তিনি ১৯৭৭ সালের ১৫ জুলাই শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া বহিঃবিশ্বে দেশের অপ্রচলিত গার্মেন্টস, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের বাজার স¤প্রসারণ করেন। জিয়ার হাত ধরে গড়ে উঠা সেদিনের গার্মেন্টস শিল্প আজ দেশের প্রধান রপ্তানি খাত।

দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। সেই নারীদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করে দেশের সার্বিক উন্নয়নের চাকাকে গতিশীল করার জন্য তিনি মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন। বিজ্ঞান শিক্ষার প্রচার ও প্রসার এবং বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে তিনি দেশে পৃথক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শহীদ জিয়াউর রহমান স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি অলম্বন করে সহজেই বিশ্বসবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি ইন্দো-সোভিয়েত বলয় থেকে বের হয়ে আমেরিকা ও চীনের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাতে তিনি সফলও হয়েছিলেন। তিনি তার চৌকস ও দূরদর্শী পররাষ্ট্রনীতির কারণে মুসলিম বিশ্বের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ইরাক-ইরান যুদ্ধে একক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন, আল কুদস কমিটি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া, ফিলিস্তিন জনগণের প্রতি অবিচল সমর্থন, ওআইসিকে একটি কার্যকর সংগঠনে পরিণত করার ক্ষেত্রে শহীদ জিয়ার ভূমিকা মুসলিম বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। তিনিই মূলত মুসলিম বিশ্বে শ্রমবাজার সৃষ্টি করে সরকারিভাবে কর্মী প্রেরণ করেন।
শহীদ জিয়া দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক ঐক্য সৃষ্টির জন্য সার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তাই তাঁকে সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা বলা হয়ে থাকে। শহীদ জিয়া কর্তৃক প্রবর্তিত ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে’র ধারণাটি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সবাই বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বদরবারে পরিচিত করে। তিনি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশের অর্থনীতিকে একটি মজবুত ভিতের উপর দাঁড় করিয়েছিলেন। শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সৎ, ধার্মিক ও বিনয়ী রাষ্ট্রনায়ক। কোনো প্রকার অসততা ও স্বজনপ্রীতি তাঁকে স্পর্শ করেনি। তিনি ছিলেন সততা ও দেশপ্রেমের কষ্ঠিপাথরে পরীক্ষিত খাঁটি সোনা। গণতন্ত্রের প্রতি তিনি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল। ন্যায্যতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ছিলেন আপোসহীন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ছিলেন শতভাগ দেশপ্রমিক। তিনি অত্যন্ত সাদাসিদে জীবনযাপন করতেন। তাই তো তাঁর চরম নিন্দুকেরাও তাঁর সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে আজও কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেন না।

লেখক: প্রফেসর, আইবিএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

জিয়া লাইব্রেরী অনলাইন
Logo