‘কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন’

জিয়া লাইব্রেরি ডেস্ক :চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাত্রিতে তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে পাকিস্তানি সেনা অফিসার কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে উই রিভোল্ট বলে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। তিনি কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে তিনি বাংলাদেশকে শত্রুমুক্ত করেছেন। তার ঘোষণায় বাংলার মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটাই ইতিহাস। আমরা চ্যালেঞ্জ করছি, যদি এর বাইরে অন্য কোনো ইতিহাস থাকে তাহলে দালিলিক প্রমাণ দিন। গতকাল দুপুরে বিএনপি’র ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে র‌্যালি-পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারই জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করেছে।কিন্তু বর্তমান সরকার সে ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে বিভিন্ন অপবাদের বুলি ছুড়ছেন। কারণ জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। তাই তারা বিএনপি ও বিএনপি’র নেতাদের নামে কুৎসা রটিয়ে জনবিচ্ছিন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। দেশের মানুষ এখন তাদের এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা বিশ্বাস করে না। দেশবাসী জানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাজই হচ্ছে বিএনপি’র নামে কুৎসা রটানো। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এখন দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।

তারা এখন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমনের ‘বীর উত্তম’ খেতাব কেড়ে নেয়ার ধৃষ্টতাসহ নতুন করে তার লাশ, মাজার এমনকি মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান নিয়ে আপত্তিকর ও ঘৃণ্য মিথ্যাচার শুরু করেছে। মনে হচ্ছে শহীদ জিয়ার লাশ নিয়ে আওয়ামী মন্ত্রী-নেতাদের মধ্যে রুচিহীন বক্তব্য প্রদানের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। শহীদ জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী মিথ্যাচার নষ্ট রাজনীতির উপাদান মাত্র। এসব বক্তব্য থেকে জনগণের নিকট পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, সরকারের পায়ের নিচের সর্বশেষ মাটিটুকুও আর অবশিষ্ট নেই। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের বক্তব্য গোটা জাতিকে বিস্ময়ে হতবাক করেছে।

জনগণের হাসির খোরাক হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মিয়া ভোলা, এস. কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল উদ্দীন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য মাহবুবুল আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, আর.ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী মঞ্জু, থানা বিএনপি’র সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, নগর মহিলা দলের সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, বিএনপি নেতা সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, মো. ইদ্রিস আলী, আবু মুছাসহ দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জিয়া লাইব্রেরী অনলাইন
Logo