জিয়া লাইব্রেরি ডেস্ক : সিআইএ’র এই সিক্রেট টেলিগ্রামটি করা হয়েছিলো জানুয়ারী ১৯ , ১৯৭৬ এ….
জিয়াউর রহমান তখনো প্রেসিডেন্ট হননি , তৈরী হয়নি বিএনপি…..
যখন মাত্র ৭৫ ‘র উত্তাল নভেম্বর পেরিয়ে বাংলাদেশে ধীরস্থিরতা ফিরে আসছে…..
বীরউত্তম জিয়াউর তার মায়ের মত দেশটাকে কতটুকু ভালোবাসতেন…..
তার যুদ্ধে ক্লান্ত – শত বছরের অত্যাচার শোষনে ক্লিষ্ট দেশটার মানুষের ভবিষ্যত নিয়ে কিভাবে চিন্তা করতেন ………
সেই নিরেট দেশপ্রেমের নীরব স্বাক্ষী দেয় এই সিক্রেট সিআইএ টেলিগ্রাম ০৩২৫/০৯৫০Z…..
জানুয়ারী ১৯ , ১৯৭৬ , সিআইএ টেলিগ্রাম নাম্বার ০৩২৫/০৯৫০Z :
ইমেজ -১
দল – মত – গোত্র – ধর্ম – আন্চ্ঞলিকতা নির্বিশেষে সবার কাছেই একটা সহজ প্রশ্ন রাখছি…
বলুনতো … ইতিহাসের ক্ষর নদী আর পাথুরে রুক্ষ পথে উষ্ঠা খেতে খেতে নিঃশেষ প্রান আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ কিভাবে তার আয়ু হারাচ্ছে ?
হারাচ্ছে বিশ্ব মানচিত্রে তার টিকে থাকার সম্ভাবনা ?
সহজ উত্তর :
প্রবল জনসংখ্যা স্রোতের তোড়ে……
গত ৩০ টা বছর ধরে ৩ স্টুপিড জনসংখ্যা স্রোত আটকানোর জন্য কোন শক্ত বাঁধ দেয়নি….
কারন তাদের অশিক্ষিত নাখা ভূখা জনগন প্রয়োজন ….
তবেই না বিশাল মহাসমাবেশের মাঠ ভরে যায়…..
প্রতিটা ভোটের আগে আগডুম বাগডুম বুঝিয়ে বস্তায় বস্তায় ভোট পাওয়া যায়…..
কিন্তু আজ থেকে ৩৪ বছর আগে একজন প্রানপণে চেয়েছিলেন এই জনসংখ্যা স্রোত আটকাতে…..
এই একজনটি হলেন …..
জিয়াউর রহমান….
ধুরন্ধর ইনফরমেশন ক্রিমিনাল প্রথম আলোতে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছিলো ফারুক- রশীদের অস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে।
আমি নিজেই সেই সব বানোয়াট নির্লজ্জ সাংবাদিকতাকে উলংগ করেছিলাম একটি ব্লগে…………..
সেখানে দেখানো হয়েছিলো জিয়াউর রহমান নাকি আমেরিকা থেকে অস্ত্র কেনার জন্য মুখিয়ে আছেন মুজিব মারা যাবার পর ভারতের আক্রমন ঠেকানোর জন্য…..
লালঘোড়া বাহিনীতে মজে থাকা মুজিবের কাছে অবহেলিত নিধিরাম সর্দার সেনাবাহিনীর জন্য জিয়া ঢাল-তলোয়ার-গোলা বারুদের যোগাড় করেছিলেন ঠিকই , তবে সেটা শুরুতে নয়….
ভাগ্যের চাকা ঘুরে ইতিহাসের ঘটনাচক্রে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে জিয়াউর রহমান সবার প্রথমেই আমেরিকার কাছে যে সাহায্যটি চেয়েছিলেন সেটি ছিলো ভিন্ন কিছু….
তাহলে কি চেয়েছিলেন জিয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিস বোস্টারের কাছে ৭৬’র জানুয়ারী মাসের কোন এক শনিবারে ?
সেটা জানা শুরু করুন ইমেজ- ১ থেকে :
লাইন ৩- ৫:
UPPERMOST ON HIS MIND , EVIDENTLY , WAS A DESIRE FOR US TO UNDERSTAND THAT THEY HAD REGISTERED OUR CONCERN THAT A REALLY EFFECTIVE ATTACK ON BANGLADESH’S POPULATION PROBLEM WAS LONG OVER DUE.
অনুবাদ :
তার (জিয়া) মনে সবার আগে যে চিন্তাটি চলছিলো , পরিস্কার ভাবেই বোঝা যাচ্ছিলো – তিনি (জিয়া) চাইছেন বাংলাদেশের জনসংখ্যা সমস্যা আটকানোর বিষয়টি যে অনেক দেরী হয়ে গেছে – এটা যেন আমরা (আমেরিকা)গুরুত্বের সাথে নেই
ইমেজ -২ , লাইন ৩-৬ :
ZIA OPENED OUR CONVERSATIONS BY REFERRING TO THE POINTS SENATOR MC GOVERN HAD MADE TO HIM LAST WEEK ABOUT BANGLADESH’S URGENT POPULATION PROBLEM AND SAID HE WANTED US TO KNOW THAT THEY UNDERSTOOD THIS WAS THEIR TOP PRIORITY.
অনুবাদ :
সিনেটর ম্যাক গভার্নের সাথে কি আলোচনা হয়েছিলো গত সপ্তাহে বাংলাদেশের জরূরী সমস্যা জনসংখ্যা নিয়ে সেটা নিয়েই জিয়া কথা বার্তা শুরু করেন এবং আমাদের জানাতে চান যে এটাই তাদের (বাংলাদেশের) টপ প্রায়োরিটি / সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সমস্যা
লাইন ৭-৯:
THEY REALIZED THAT THEY COULD MAKE NO REAL PROGRESS IN SOLVING THEIR OTHER PROBLEMS AS LONG AS THEY MADE NO PROGRESS IN BRINGING DOWN THE RATE OF POPULATION GROWTH.
অনুবাদ :
তারা ( জিয়া ) এটি বুঝতে পারছে যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আটকাতে না পারলে অন্য সেক্টরগুলোতেও তারা সফল হবেনা ।
লাইন : ৯-১৪ :
HE SAID THEY HAD NOW DESIGNATED SATTAR , ONE OF THEIR BEST AND MOST EFFECTIVE PEOPLE , AS THE SECRETARY IN CHARGE OF POPULATION MATTERS AND EXPECTED THIS PROGRAM TO GET MOVING.
THEY WOULD ALSO ASSIGN MORE AND BETTER PEOPLE TO THIS WORK AND WOULD ALSO BRING IN MORE WOMEN.
অনুবাদ :
তিনি ( জিয়া ) আরো জানিয়েছেন যে তারা তাদের সেরা এবং সবচেয়ে কার্যক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের একজন সাত্তার কে জনসংখ্যা বিষয়ক কার্যক্রমের সচিব নিযুক্ত করেছেন এবং আশা করছেন যে এটা ফলপ্রসু হবে।
তারা আরো বেশী সংখ্যক এবং বেশী দক্ষ লোকবল নিয়োগ করবে এবং আরো বেশী সংখ্যক নারীকে এটার সাথে জড়িত করবে।
শুধু মার্কিন দলিলেই নয় , জিয়াউর রহমান জনসংখ্যা সমস্যার বিষয়টি কতটুকু সিরিয়াসলী নিয়েছিলেন সেটা খুজে পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব মেরীল্যান্ড অ্যাট কলেজ পার্ক এর গভর্মেন্ট অ্যান্ড পলিটিকস এর ভেটেরান প্রফেসর মার্কাস ফ্রান্ডার রিসার্চ পেপারে যিনি MIT তে ইন্টারন্যাশনাল স্টাডী বিষয়ে ১০ বছর রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট ছিলেন :
জিয়াউর রহমান এতটাই স্ট্রিক্ট ছিলেন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে যে উনি নিয়ম চালু করেছিলেন ফ্যামিলি প্ল্যানিং / পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের কে স্থানীর সরকার অফিসের কাছ থেকে সনদ নিতে হবে এই মর্মে যে সে / তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে , অন্যথা বেতন বন্ধ রাখা হবে।
এবার বুঝলেনতো পাঠকরা ….
এই ছিলো জিয়াউর রহমানের দেশচিন্তা…
তথ্য অপরাধী প্রথম আলো যেখানে দিনের পর দিন মিথ্যা প্রচার করেছে জিয়া আমেরিকার কাছে অস্ত্র চেয়েছে মুজিবের মৃত্যুর আগে সেই জিয়া বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রে এসে বন্দুক-গোলাবারুদ- ফাইটার প্লেন চায়নি শুরুতে ….
চেয়েছে প্রবল জনসংখ্যা বৃদ্ধির স্রোতে বাঁধ দেয়ার জন্য ফ্যামিলি প্ল্যানিং এইড / পরিবার পরিকল্পনা এইড…
চোখ রাঙিয়েছে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের কে বেতন বন্ধ রাখার যাতে তারা কাজে ফাঁকি না দেয়….
এটাই ছিলো দেশ নায়ক জিয়ার ভিশন….
১৯৭৬-৮১ পর্যন্ত জিয়া সারাদেশ চষে বেড়িয়ে মানুষকে বুঝিয়েছেন জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যা , বারবার বলেছেন জনসংখ্যা আমাদের ১ নম্বর সমস্যা….
মাত্র ৫ বছর ৬ মাসের শাসনকালে জিয়া বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা/ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন কার্যক্রমকে যতদুর এগিয়ে নিয়েছিলেন ততদুর না করে গেলে আজ বাংলাদেশের জনসংখ্যা হতো ২৫ কোটি +……
অবস্থা দাড়াতো ভয়াবহ….
কারন জিয়ার পর আর কোন স্টুপিড গদাই লস্কর জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমস্যার জন্য জিহাদী জোশে চেষ্টা করেনি…..
আসুন এবার অন্যদিকে চোখ ফেলি………..
বাংলাদেশের অন্য আরেকটি মরন সমস্যা ফারাক্কা নিয়ে জিয়াউর রহমান পানি ডাকাত ভারতের বিরুদ্ধে মাথা উচু করে কথা বলেছিলেন জাতিসংঘে……
তার সুবাদে ভারত পানি দিতে বাধ্যও হয়েছিলো…
কিন্তু তার মৃত্যুর পর ভারতের বিগ ব্রাদারদের কাছে খালেদা জিয়াও “ড্যাম কেয়ার” হয়ে গেছেন….
হাসিনাতো ১৯৭৬ থেকেই দিল্লীর নকরানী….যে কিনা ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কারের মত পিতলের টুকরো পেয়ে গদগদ হয়ে যায় , যেই ইন্দিরা গান্দ্ধী ফারাক্কার পানি লুটের নাটের গুরু….
সিআইএ’র আরেকটি ডিক্লাসিফায়েড ডকুমেন্ট থেকে জানুন দেশের ন্যায্য পানির হিস্যা আদায়ের জন্য জিয়ার মেরুদন্ড কতটুকু সোজা ছিলো :
সেপ্টেম্বর ৩ , ১৯৭৬ , মেমোরান্ডাম অফ রেকর্ড , সিআইএ , বোস্টার – সিদ্দিকী কনভারসেশন :
ইমেজ – ১
ইমেজ – ২
ইমেজ – ৩
১৯৭৬ এ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ অ্যাম্বেসেডর এম আর সিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে মার্কিন অ্যাম্বেসেডর ডেভিস বোস্টারের ভেতরকার আলাপ আলোচনা যেটি এম আর সিদ্দীকী ওয়াশিংটন রওনা দেবার আগে হয়েছিলো।
ইমেজ -১ থেকে যেটা জানা যায় , এম আর সিদ্দীকীকে জিয়াউর রহমান নির্দেশ দিয়েছিলেন ওয়াশিংটন পৌছে কুটনৈতিক দেনদরবার করতে যাতে সামনের জাতিসংঘ অধিবেশনে গংগার পানিবন্টনের বিষয়টা উত্থাপন করার পর মার্কিন সরকারের সমর্থন পাওয়া যায়।
এম আর সিদ্দিকীর মেরুদন্ডের দুর্বলতা বেশ ভালো ভাবেই বোঝা যায় সেখানে।
এম আর সিদ্দিকী জাতিসংঘে ফারাক্কা বাঁধ / গংগার পানি ইস্যুটা তোলার বিপক্ষে ছিলেন , কারন তার ধারনা জাতিসংঘে কোন ফল না হলে বিষয়টা ভয়াবহ প্রতিকূল হয়ে যাবে বাংলাদেশের জন্য।
তিনি বোস্টার কে বলেছিলেন ভারত তার প্রয়োজন মত যথেষ্ট পানি পাওয়ার পরও কেন অতিরিক্ত পানি প্রত্যাহার/ডাকাতি/লুট করছে তিনি সেটা বুঝতে পারছেন না।
কিন্তু জিয়া ঠিকই জিতেছিলেন পানির ন্যায্য আদায়ের সেই কূটনৈতিক যুদ্ধে…..
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ফেলে ইন্দিরার কাছ থেকে বছরে ৪০০০০ কিউসেক পানি আদায় করে নিয়েছিলেন সোজা মেরুদন্ডের জিয়াউর রহমান……
১৯৭৭ এর ডিসেম্বরে ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই জিয়ার সাথে ৫ বছর মেয়াদী পানিবন্টন চুক্তি করেন…….
এপ্রিল ১৬ – ১৮ , ১৯৭৯ তে মোরারজি দেশাই বাংলাদেশ সফরের সময়ই ভারত বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের রূপরেখা প্রণয়ণ হয়……
এম আর সিদ্দিকীর কাছ থেকেই যেটা জানা যায় ভারতের পানি ডাকাতীর ব্যাপারে জিয়ার হার্ডলাইন পলিসির আগ পর্যন্ত জিয়া যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন ভারতের সাথে কূটনীতি বিষয়ে মে , ১৯৭৬ এর আগ পর্যন্ত , একটি বারের জন্যও ভারতের কোন সমালোচনা করেন নি।
মে , ১৯৭৬ এর পর থেকেই জিয়া কড়া অবস্থান নেন ভারতের ব্যাপারে , এর কারন সম্ভবত ফারাক্কা ইস্যুতে মে ২ , ১৯৭৬ এ সম্পূর্ন ব্যর্থ হওয়া ভারত – বাংলাদেশ কারিগরী সংলাপ ।
নীচের ছবিটি মে ১৬ , ১৯৭৬ এ মাওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের :
আলোচনা – সংলাপের নামে এইসব কূটনৈতিক টাল্টি ফাল্টি দাদাগিরি ” বিগব্রাদার ” ভারত এখন আরো বেশী করেই করে….
যাই হোক , এখনো জানার বাকী অনেক কিছু …….
কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের খাল খনন আর ওয়াটার রিসোর্স নিয়ে জিয়া ১৯৭৬ থেকেই কোমর বেঁধে লেগে পড়েন।
একই সংগে এমন একটি রুগ্ন সেনাবাহিনীকে সুস্থ সবল করার কাজ হাতে নেন যেই সেনাবাহিনীর যথেষ্ট ইউনিফর্ম পর্যন্ত ছিলোনা মুজিব শাসনে !
বলা হয় বিএনপি ভারত জুজু দেখিয়ে রাজনীতি করে….
সিআইএ’র জুলাই ২ , ১৯৭৬ এর ডকুমেন্টসটি থেকে জানুন দেশ কে নিয়ে জিয়া তখন কি ভাবছিলেন :
জুলাই ২ , ১৯৭৬ , মেমোরান্ডাম অব কনভারসেশন , সিআইএ , রিয়ার অ্যাডমিরাল এম এইচ খান – সেক্রেটারী কিসিন্জ্ঞার :
ইমেজ- ১
ইমেজ – ২
ইমেজ- ৩
সম্প্রতি ফালানী হত্যাকান্ড নিয়ে বিএসএফ এর বর্ডার ক্রাইম সবার নজরে পড়েছে…..
কিন্তু বিগ ব্রাদার ভারত যে ১৯৭৬ থেকেই বাংলাদেশকে বর্ডারে জ্বালিয়ে যাচ্ছে সেটা জানতে পারবেন ইমেজ – ১ …..
ঐসব ভারতের পোষা ভেড়া দালাল বুজিদের ও জানা প্রয়োজন নিচের তথ্যগুলো যাদের কাছে ফেলানি হত্যাকান্ড ফেলনা…..
ইমেজ – ২ থেকে কি জানা যায় ?
হেনরী কিসিন্জ্ঞার :
আপনারা কি আমাদের (আমেরিকা) কাছ থেকে ঋন নিয়ে সামরিক অস্ত্র কিনতে চান ?
এম এইচ খান :
আমরা আমাদের যা কিছু সম্পদ আছে পুরোটাই উন্নয়ন কাজে লাগাতে চাই , আমাদের সামরিক সহায়তা প্রয়োজন
হেনরী কিসিন্জ্ঞার :
এখন আপনাদের অস্ত্রগুলো কোথায় আছে ?
এম এইচ খান :
আমাদের কিছুই নেই , মুক্তিযুদ্ধের পর ১৫ টি জাহাজে করে সব অস্ত্র ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে
হেনরী কিসিন্জ্ঞার :
আপনারা অস্ত্র গুলো ফেরত পেতে চান ?
এম এইচ খান : [ইমেজ – ৩ থেকে শুরু]
হ্যাঁ চাই , আমি আপনাকে খুবই খোলামেলা ভাবে জানিয়েছি পরিস্থিতি কি ।
আমি গর্ব নিয়েই বলতে চাই যে আমরা নিজেদের রক্ষা করার সামর্থ নিয়ে স্বাধীন মানুষের মতই বাঁচতে চাই
হেনরী কিসিন্জ্ঞার :
আপনি কি চাইনিজ দের সাথে কথা বলেছেন ?
এম এইচ খান :
পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা আর সেচ প্রকল্পে চাইনিজদের সহায়তা দেবার আগ্রহের ব্যাপারে মাত্রই কথা শুরু হয়েছে
…… সংলাপ ৮ – ১১
হেনরী কিসিন্জ্ঞার :
আপনি তাহলে নাভাল রিভিউ তে আসছেন ?
এম এইচ খান :
হ্যাঁ
হেনরী কিসিন্জ্ঞার :
আমি ওয়েনরাইটে ( শিপের নাম ) থাকবো । আমি আপনার শিপের জন্য অপেক্ষা করবো । আপনার শিপটি কোন ধরনের ?
এম এইচ খান :
আমার কোন শিপ নেই , মিস্টার সেক্রেটারী । যদি আপনি আমাকে একটির ব্যবস্থা করে দিতে পারেন তবেই সম্ভব
আশা করি যারা বাংলা পড়তে পারেন তাদের কে বোঝানোর প্রয়োজন হবেনা কোন শোচনীয় পর্যায় থেকে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে মেরামত করা শুরু করেছিলেন ……..
আজকের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিয়ে যারা গর্বিত তাদের প্রয়োজনে জানিয়ে রাখছি মুজিবের কাছে অবহেলিত সেনাবাহিনীর ডিভিশন ছিলো ৫ টি ….
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ডিভিশন সংখ্যা করেন ৯ টি , সেনা সংখ্যা ৬০০০০ থেকে ৯০০০০ এ বৃদ্ধি করেন।
শুধু সেনাবাহিনীই নয় , জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশ পুলিশের সংখ্যা ৪০০০০ থেকে ৭০০০০ এ বাড়ি্যে তোলেন ।
দাংগা পুলিশ বলে পরিচিত রিসার্ভড আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এবং ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশ উনিই চালু করেন ।
অনেকেই জেনে বোধহয় চমৎকৃত হবেন বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ জিয়াউর রহমানই প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৭৬ সালের ৮ ই মার্চ ।
অথচ এই জিয়াউর রহমানকে মৌলবাদী নেতার অপবাদ দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি অপটিমাম শ্রদ্ধা দেখানোর কারনে…..
এই জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ কে এয়ারপোর্টে রোডস অ্যান্ড স্ট্রীট ডিউটিতে ডেপ্লয় করেছিলেন…….
এই জিয়াউর রহমানই মাদ্রাসার সিলেবাসে সায়েন্স , ইংরেজী , সমাজবিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন…….
এমনকি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও তার তেমন আগ্রহ ছিলোনা……
প্রফেসর মার্কাস ফ্রান্ডার রিসার্চ পেপার থেকে ….
সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সালে কলম্বোতে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন সম্মেলনে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ ৭ জাতি গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
১৯৭৬ সালেই তিনি উলশি যদুনাথপুর থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন উদ্বোধন করেন।
আজকের আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দীন খান আলমগীর ছিলেন জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচীর সমন্বয়ক কর্মকর্তা….
কাজের বিনিময়ে খাদ্য / কাবিখা ,
কাজের বিনিময়ে নগদ মজুরী এইসব মেধাবী ধারনা দিয়ে খাল খননকে একটি সফল কৃষি বিপ্লবে রূপ দিতে পেরেছিলেন……
শুধু কৃষির প্রয়োজনেই নয় , বর্ষায় ভারতের বাংলাদেশের দিকে ছেড়ে দেয়া বন্যার পানিও যাতে সারা বছর কৌশলে রিসার্ভ রাখা যায় সেটাও ছিলো জিয়াউর রহমানের একটি বুদ্ধিমান পরিকল্পনা যেটি তিনি শিখেছিলেন চীন সফর থেকে….
হয়েছিলো অসংখ্য গরিব মানুষের কর্মসংস্থান , মোট খাল কাটা হয়েছিলো ১৪০০ টি……
১০০ কোটি টাকার কৃষি ঋন চালু করছিলেন জিয়া ….
মানুষকে বাড়ীর পাশে ফল-সব্জীর গাছ লাগাতে উৎসাহ দিতেন সব সময়…….
রাস্তার দু – পাশে গাছ লাগানোর জন্য বলতেন গ্রামের যুবকদের যে গ্রামেই তিনি যেতেন….. যেখান থেকে শুরু হয় সামাজিক বনায়ন……..
গনশিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছিলেন জিয়াউর রহমান , অক্ষর জ্ঞান পেয়েছিলো ৪০০০০০০ মানুষ…..
প্রাথমিক গনশিক্ষা , বয়স্ক শিক্ষা এগুলো জিয়াউর রহমানের অবদান সেটা নতুন করে বলতে হবেনা আশা করি।
যেই জিয়াউর রহমানকে ” সাম্প্রদায়িক ” গালি দেয়া হয় আওয়ামী বাম বুজিদের তরফ থেকে সেই জিয়াউর রহমানই সব ধর্মের ধর্মীয় উৎসবের অনুষ্ঠান জাতীয় টেলিভিশনে প্রদশর্নের ব্যবস্থা করেন।
এমনকি ভারতীয় সাংবাদিকরা যেই বিষয়টির প্রশংসা করেছিলেন –বাংলাদেশের মিডিয়াতে ভারতের হিন্দু মুসলিম দাংগার খবর খুব সাবধানে ছাপানো হতো , প্রচার হতো – যেটি জিয়াউর রহমানের মিডিয়া কর্মীদের প্রতি কড়া নির্দেশ ছিলো……
ভারতীয় সাংবাদিকরা অবাকও হয়েছিলেন যে এই স্বাধীন দেশটিতে এখনো পর্যন্ত কোন সাম্প্রদায়িক বিগ্রহ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি……
হিন্দু / বৌদ্ধ / ক্রিশ্চিয়ান বাংলাদেশীদের উদ্দেশ্যে বলছি ….. আপনাদের এগুলো জানা প্রয়োজন……
জানা প্রয়োজন আপনাদের ঘর পুড়িয়ে কারা আলুপোড়া খায়…..
আপনাদের ভুল বোঝার কারনে স্থিতিশীল মধ্যমপন্থার রাজনীতি ভারসাম্য হারাচ্ছে…..
সত্য কি মিথ্যা ক্রিশ্চিয়ান তুখোড় স্কলার মার্কাস ফ্রান্ডার কাছ থেকেই জানুন :
১৯৮০ তে জিয়াউর রহমান হিন্দুদের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক সমস্যা এবং অর্পিত সম্পত্তি দাবী গুলোর জন্য একটি কমিটি গঠন করেন।
অসংখ্য হিন্দু উৎসবে উনি বক্তব্য রেখেছেন , এমন সব উৎসব যেখানে হিন্দু – মুসলিম সবাই অংশ নিতে পারে সেগুলোকে উৎসাহ দিয়েছেন…..
বলতে বলতে জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন একটি অবদানের কথা বলা হয়নি…..
যেটি বাংলাদেশের অর্থনীতির ফুসফুসের সবচেয়ে বড় প্রকোষ্ঠ ….
মিডল ইস্টে শ্রম বাজার …..
আজকের বাংলাদেশ বেঁচে আছে মধ্যপ্রাচ্যের ৭০০০০০০ / ৭০ লাখ শ্রমিকের আয় করা বিদেশী মুদ্রায়……
শুধু দেশের হা ভাতে বেঁচে থাকা গরীব কৃষকের জন্যই খাল খোড়েননি জিয়া , দেশের বেকার দরিদ্র ছেলেদের জন্য আরো একটি খাল খুড়েছেন…..
মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম বাজারের এই ENTRY CHANNEL টিও খুড়ে দিয়ে গেছেন জিয়াউর রহমান…..
১৯৭৬ এ প্রথম জিয়াউর রহমান ৬০০০ শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাঠান….
সেই ৬০০০ হাজার আজ ৭০০০০০০০ !
বিশ্বাস না হলে দেখুন :
আওয়ামী লীগ যদি ১৯৭৬ সংখ্যাটি এখন গায়েব করে দেয় তাই আরো একটি লিংক দিচ্ছি ……….
আগেই জেনেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বাধা আসায় জিয়াউর রহমান মহিলা পুলিশ কে রোডস অ্যান্ড স্ট্রীট ডিউটিতে ডেপ্লয় করেও পরে উইথড্র করেছেন…..
সুতরাং ১৯৭৬ পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের দালালদের বিচারের বিষয়টা যে কতবড় কূটনৈতিক বাধার সামনে ছিলো সেটা সহজেই অনুমেয়……….
এমনকি ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির নির্বাহী ড: এম এম হাসানও ২০০৮ এর নির্বাচন পূর্ব আরটিভির রোড টু ডেমোক্রেসী অনুষ্ঠানে স্বীকার করেছিলেন মুজিব – জিয়ার রিজাইমে এই বিচার করা অত্যন্ত দুরহ ছিলো।
অথচ দালালদের কে ক্ষমা প্রসংগে কখনোই মুজিবের মত সমান ভাবে জিয়া মুল্যায়িত হননা………..
বরন্চ্ঞ মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক – পেট্রো ডলার এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন শ্রম বাজারের যে বিশাল প্রাপ্তিটি তিনি নিশ্চিত করেছিলেন সেটা অনালোচিত থাকে , ধামাচাপা দেয়া হয়………
আজ যেই সব বামরা মুক্তাংগনে দাড়িয়ে জিয়া কে গালি গালাজ করে সেই মুক্তাংগন জিয়াই তৈরী করেছিলেন তার বিরোধীদেরকে স্বাধীন ভাবে কথা বলতে দেয়ার জন্য……
অথচ এইসব বামরা ৭২-৭৫ পুলিশ আর রক্ষী বাহিনীর ঠ্যাংগানি খেয়ে শহীদ মিনারে দাড়াতেই পারতোনা…….
শুধু সেটাই নয় , আগে ভাবতাম জিয়ার আমলের বাইরে কেবল গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রীটা ডেভেলপ করেছে…….
পরে জানলাম গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রীও জিয়াউর রহমানই শুরু করে দিয়ে গেছেন…..
১৯৭৯ তে বাংলাদেশ – সাউথ কোরিয়া জয়েন্ট ভেন্চ্ঞার শুরু হয় বাংলাদেশের প্রথম রপ্তানীযোগ্য বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান দেশ গার্মেন্টস…
এই বিষয়টা নিয়ে সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে জিয়াউর রহমান অনুরোধ করেছিলেন তখন……..ক্লিক করুন এখানে
মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে জিয়াউর রহমানের চেয়ে আধুনিক মনস্ক রাষ্ট্র নায়ক আর নেই বাংলাদেশের ইতিহাসে……
বিটিভির কালার ট্রান্সমিশন জিয়াউর রহমান চালু করেন যখন ভারতেও রঙীন সম্প্রচার শুরু হয়নি…..
বিখ্যাত জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ” যদি কিছু মনে না করেন ” নির্মাতা ফজলে লোহানী কে লন্ডন থেকে দেশের মাটিতে নিয়ে আসেন জিয়াউর রহমান…………..
বিটিভির ২য় চ্যানেল চালু করেছিলেন জিয়া যা এরশাদ বন্ধ করে দিয়েছিলো….
জিয়াউর রহমানের সরাসরি নির্দেশে নতুন কুড়ি , স্কুল বিতর্ক অনুষ্ঠান গুলো চালু হয় বিটিভিতে…
৯৬ তে ক্ষমতায় এসে হীনমন্যতার চরম উদাহরন দেখিয়ে শেখ হাসিনা নতুন কুড়ি অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়…..
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের একাংশে শাহবাগের জাতীয় শিশুপার্কটি জিয়াউর রহমান করে গেছেন…..
দেশে আজ হাজারটা ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রাম কাসেম টিভি – ময়না টিভিতে ,
নন্দন , ফ্যান্টাসী কিংডমের মত রিক্রিয়েশন পার্ক…….
এসব কিছুরই পথিকৃত জিয়াউর রহমান……
জাতীয় শিশু পুরস্কার , জাতীয় টেলিভিশন পুরস্কার , স্বাধীনতা পুরস্কার , একুশে পদক এগুলো জিয়াউর রহমান চালু করেছেন……
অনেকেই বোধহয় জানেন না যে ১৯৭৯ ‘র আগ পর্যন্ত একুশের বই মেলা ছিলো গাছতলার ছন্নছাড়া মেলা…….
জিয়াউর রহমানই বইমেলাকে বাংলা একাডেমীর দায়িত্বে নিয়ে আসেন ১৯৭৯ তে……
সে বছর থেকেই একুশের বই মেলা রাষ্ট্রীয় ভাবে পালিত হচ্ছে……
এ বিষয়ে একটা মজার অভিজ্ঞতা বলি……
চ্যানেল আইয়ের ২১’র বইমেলা থেকে লাইভ টেলিকাস্ট হচ্ছিলো ২০০৯ এর কোন এক বিকেল বেলা…..
আমার নিজের দেখা সে অনুষ্ঠান……
বিভিন্ন লেখক কবি সাহিত্যিকদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন শেখ হাসিনার এক্কা-দোক্কা খেলার সাথী লূৎফর রহমান রিটন…..
তেমনি এক সাহিত্যিকের সাক্ষাৎকার নেয়ার সময় যেই ঐ সাহিত্যিক বলে বসলেন একুশের এই মেলা ৭৯ থেকে সুষ্ঠুভাবে রাষ্ট্রীর উদ্যোগে পালিত হচ্ছে ওমনি আওয়ামী চাটুকার রিটন “আপনাকে ধন্যবাদ” বলে পই পই পই করে ক্যামেরা ঘুরিয়ে অন্য দিকে চলে গেলেন !
এফ ডিসির জন্যও জিয়াউর রহমান গাজীপুরে জমি বরাদ্দ করে গেছেন …..
এটাও বোধহয় অনেকে জানেন না যে রাষ্ট্রীয় অনুদানে সুস্থ চলচ্চিত্র নির্মান করার বিষয়টা জিয়াউর রহমানই চালু করেছেন….
সেজন্যই আমরা পেয়েছি দীপু নাম্বার -টু , আগুনের পরশমনি , শংখনীল কারাগারের মত নান্দনিক চলচ্চিত্র……
বাঙালী কে ডেইরী ফার্ম , পোল্ট্রী ফার্ম , নার্সারী এগুলো জিয়াউর রহমান ই শিখিয়ে দিয়ে গেছেন…… এইসব জ্বলজ্বলে সত্য নতুন করে বলার কিছু নয়……
অনেকেই বোধহয় জানেনা বাংলাদেশ শিশু একাডেমী জিয়াউর রহমানেরই প্রতিষ্ঠিত
উদার রাষ্ট্রনীতিতে পথচলা জিয়াউর রহমান ব্যাংকক থেকে এবিএম মুসাকে দেশে নিয়ে আসেন….
কুচক্রীরা যখন জিয়ার কানে বিষ ঢালছিলো এবিএম মুসা আওয়ামী লীগ পন্থী –
তখন জিয়া এবিএম মুসাকে জিজ্ঞেস করেন :
“আপনি নাকি আওয়ামী লীগ করেন ?”
জবাবে এবিএম মুসা বলেন :
“আমি আওয়ামী লীগ করিনা , মুজিব লীগ করি”
শুনে জিয়া হেসে ওঠেন , ওনাকে বলেন যত দ্রুত সম্ভব জিয়ার প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিউটের মহাপরিচালকের দায়িত্ব নিতে যেই দায়িত্ব এবিএম মূসা জিয়ার মৃত্যুর পরও পালন করে গেছেন…….
[ সূত্র : দিগন্ত টেলিভিশনে এবিএম মুসার দেয়া সাক্ষাৎকার ]
জাতীয় প্রেস ক্লাবটিও স্থায়ী জমি বরাদ্দসহ জিয়াউর রহমান তৈরী করে গেছেন ….
বাকশালে চাকরী চ্যুত সাংবাদিকদের চাকরীর ব্যবস্থা করার জন্য রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন “দৈনিক বার্তা” যেখানে চাকরী করেছেন কামাল লোহানীও
ঘোরতর আওয়ামীপন্থী খুশী কবিরের বাবা আকবর কবীর ছিলেন জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য…….
সাবেক অর্থমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া ESCAP এর নির্বাহীসচিব হয়েছিলেন জিয়াউর রহমানের সময়ে।
আরশাদুজ্জামান হয়েছিলেন OIC ‘র সহকারী মহাসচিব……. যেখানে জিয়াউর রহমানের আগে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশ সম্মান পাওয়া তো দুরের কথা , সাহায্য প্রার্থী গরীব দেশ হিসেবেই গন্য হতো………..ডেইলী স্টার / মে ৩১ / ২০০৮
এভাবে বলতে বলতে সব বলা হবেনা , অনেক কিছু বলতে ভুলেও যাবো ……..
তবুও শেষ হবেনা ……
তবুও উইকি থেকে শেষ বারের মত টুকলী ফাই করে যাই :
১. জাতীয় সংসদের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ১ম বারের মত নারী আসন বাড়ানো
২. গ্রামাঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান ও গ্রামোন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) গঠন ।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ এর ভালনারেবল সামাজিক নিরাপত্তার বাংলাদেশে ভিডিপির মাধ্যমে ৫৫০০০ সদস্যকে রাইফেল প্রশিক্ষিত করে তোলেন।
আশ্চর্য বিষয় যেটি সেই ভিডিপি মুজিবের লালঘোড়া বাহিনী রক্ষী বাহিনীর মত কুখ্যাত হয়নি…..
বরন্চ্ঞ জিয়াউর রহমানের সময়েই গ্রাম গন্জ্ঞে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রনে আসে যেটি জিয়াউর রহমানের প্রবল জনপ্রিয়তার একটি কারন……
সেই ভিডিপি এখনকার আনসারের সাথে ফিউসড হয়ে আনসার-ভিডিপি আকারে আজও বেঁচে আছে…….
৩. অসংখ্য রাস্তা-ঘাট নির্মাণ
৪. ২৭৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধিকরণ
৫. কলকারখানায় ৩ শিফট চালু করে শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি
৬. যুব উন্নয়ন মন্ত্রাণালয় ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যুব ও নারী সমাজকে সম্পৃক্তকরণ
৭. ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রতিষ্টা করে সকল মানুষের স্ব স্ব ধর্ম পালনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিকরণ
৮. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন
৯. তৃণমূল পর্যায়ে গ্রামের জনগণকে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করণ এবং সর্বনিম্ন পর্যায় থেকে দেশ গড়ার কাজে নেতৃত্ব সৃষ্টি করার লক্ষ্যে গ্রাম সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন
১০. জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আসনলাভ
১১. তিন সদস্যবিশিষ্ট আল-কুদস কমিটিতে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি
১২. জনশক্তি রপ্তানি, তৈরি পোশাক, হিমায়িত খাদ্য, হস্তশিল্পসহ সকল অপ্রচলিত পণ্যোর রপ্তানীর দ্বার উন্মোচন
১৩. শিল্পখাতে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রের সম্প্রসারণ
১৪. উপজাতীয়দের জন্য কালচারাল একাডেমী গঠন
১৫. বড় পুকুরিয়ার কয়লা , মধ্যপাড়ায় কঠিন শিলা জিয়াউর রহমানের সময়েই আবিষ্কৃত হয়
শুরুতেই আপলোড করা জানুয়ারী ১৯ , ১৯৭৬ , সিআইএ টেলিগ্রাম নাম্বার ০৩২৫/০৯৫০Z টির ইমেজ ৩ , ৪ , ৫ , ৬ পড়ে দেখুন।
কি দেখছেন সেখানে ?
স্কুল-কলেজের ছাত্রদের জন্য সুইমিং পুল , জিম , লাইব্রেরী এসবের জন্য জিয়া সাহায্য চেয়েছিলেন আমেরিকার কাছে…..
একেই বলে দেশ নায়ক…..
জিয়াউর রহমান তার মায়ের মত দেশটার আনাচে কানাচে কিভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন …….
কিভাবে খবর নিয়েছেন গোয়ালা থেকে কৃষক……
তাতি থেকে মুচি…….
আবাল – বৃদ্ধ – বণিতা সবার…..
তা জানা যায় মার্কাস ফ্রান্ডার কাছ থেকে…..
মাসের ১৫ দিনই জিয়া ঢাকার বাইরে থাকতেন , খুব ভোরে নাস্তা খেয়ে বের হতেন , সন্ধ্যা হওয়ার আগেই ফিরে আসতেন…… হেলিকপ্টারে করে দেশের আনাচে কানাচে ছুটে যেতেন…….কখনো জীপ গাড়ী …… কখনো মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন মুক্ত মাতৃভূমির সবুজ জমিনে পরমানন্দে…….
আর এভাবেই
৭১’র মেজর জিয়া ,
৭৬’র জেনারেল জিয়া ,
৭৮’র প্রেসিডেন্ট জিয়া কোমর ভাঙা নড়বড়ে মেরুদন্ডের মাতৃভূমিকে সুস্থ সবল করেছেন ।
১৯৮১ ‘র ৩০ মে এই ক্ষনজন্মা রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যুতে বিশ্বের ইতিহাসে বৃহত্তম শবযাত্রা হয়েছিলো …… শুধু ঢাকার রাস্তায় ঢল নেমেছিলো ৩০ লাখ মানুষের…….
আজ ১৯ শে জানুয়ারী……..
আজ এই দেশমাতৃকার এক বিরল সাহসী সন্তান কমলের জন্মদিন…….
আজ কিংবদন্তী রাষ্ট্রনায়ক বীরউত্তম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর শুভ জন্মদিন……
সেই স্মরন- শ্রদ্ধা থেকেই ব্লগটি উৎসর্গ করা হলো সকল “বাংলাদেশী”কে…….