জিয়া লাইব্রেরি ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছেন তাঁর সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “সবাই না জানলেও বেমালুম বুঝতে পাচ্ছে, তিনি ভালো নেই। তাঁর দেহ থেকে ‘ম্যালিগন্যান্ট’ বলে সন্দেহভাজন লাম্প অপারেশন করে অপসারণ করা হয়েছে। এটা খুবই গুরুতর ব্যাপার। এই সার্জারির সিদ্ধান্ত হুট করে একদিনে নেয়া হয়নি। কিন্তু তা গোপন রাখা হয়েছিল। অপারেশনের পরেও সবকিছু স্বাভাবিক ও খুব হালকা করে দেখানো হচ্ছে। এর পেছনে কী যুক্তি আমার মাথায় আসে না।”
তিনি আরও লেখেন, “যারা সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক তাদের প্রতি আমার সবিনয় নিবেদন, পর্দার অন্তরালে রেখে উনাকে বিস্মৃতি ও অকার্যকারিতার দিকে ঠেলে দেবেন না দয়া করে। ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা অসংখ্য মানুষের উদ্বেগের বিষয়। তাই স্বচ্ছতার সঙ্গে সবকিছু রাখুন পাদপ্রদীপের আলোয়। কেবল নিজেরা ইতিহাসের দায় না নিয়ে।”
বেগম জিয়ার সাবেক প্রেস সচিব বলেন, “ম্যাডামের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে দায়িত্বশীলদের দিয়ে নিয়মিত বুলেটিন প্রচারের ব্যবস্থা রাখুন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বেদনার্ত হওয়া ও দোয়া করা ছাড়া আমার তেমন কিছু করার নেই। সেই সঙ্গে সবার কাছে মিনতি করি উনার জন্য অন্তরের সকল আকুতি ঢেলে প্রার্থনা করার। তিনি বলেন, ম্যাডামের ব্যাপারে উনার অসংখ্য অনুসারীর মতো অন্ধকারে ও দূরে থেকে আমি আজ বেদনার্ত কণ্ঠে আবারও সেই বাক্যটি উচ্চারণ করতে চাই, বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু এখনো অগণিত নেতা-কর্মীসহ কোটি কোটি মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার উৎস। কাজেই উনার যে কোনো ব্যাপার লুকিয়ে চুরিয়ে, গোপন করে, কুক্ষিগত করে রাখার চিন্তা ছাড়ুন।”
এদিকে এ ব্যাপারে এখনো মুখ খোলেননি এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগের অবস্থানেই রয়েছেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলছেন, বেগম জিয়ার শরীরে দেখা দেওয়া লাম্পে ক্ষতিকর জীবাণু আছে কিনা তা বায়োপসি পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পরে বায়োপসি রিপোর্ট হাতে আসতে পারে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তিনি বিপদমুক্ত। কেবিনে স্থানান্তরের পর তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন।