জিয়া লাইব্রেরি ডেস্ক :করোনা ও বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শনিবার ঈদের দিন রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে সাক্ষাতের পর ফিরোজার বাসার বাইরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ম্যাডাম এতোই অসুস্থ যে নিজেও বাসার নিচে নামতে পারেন না, হাটতেও পারেন না। তার এখনও খাবার খেতে সমস্যা, এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা।
তিনি বলেন, ম্যাডামের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে না। হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না বর্তমান পরিস্থিতির জন্য। সব মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থাটা ভালো না।
কী কথা হয়েছে দীর্ঘদিন পর জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কথা বলেছি, ঈদের দিনে যেসব কথা বলা হয়। এতোদিন ধরে আমরা একসাথে কাজ করছি, সকলের সুখে-দুঃখের কথা-বার্তা আছে। এছাড়া অনেক নেতা-কর্মী করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের সম্পর্কে কথা হয়েছে, তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়েছে, অনেকে চলে গেছেন। সব কিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে সুখ-দুঃখের আলাপ হয়েছে।
ফখরুল বলেন, করোনা সংক্রমণের যে বর্তমান অবস্থা, বন্যার যে বর্তমান অবস্থা, দেশের অর্থনীতির যে পরিণতি হতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে বিষদভাবে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষেরা তাদের যে নিদারুন কষ্ট আর কিছুদিন পরে কী অবস্থা দাঁড়াবে সে নিয়ে কথা হয়েছে। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতি অবস্থা ও বন্যা পরবর্তি অবস্থা কি হবে, বন্যা কবলিত মানুষের কিভাবে পূর্ণবাসিত হবে, কৃষকেরা কিভাবে থাকে সে নিয়ে আলোচনা হয়েছে
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, দেশে বর্তমান যে করোনা পরিস্থিতি, বন্যা পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক যে অবস্থা এটা তো স্বাভাবিক নয়।
খালেদা জিয়ার নির্বাহী আদেশে মুক্তির ৬ মাসের সময়সীমা প্রায় কাছকাছি চলে এসেছে, পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই বিষয়টা নিয়ে এখনো বিস্তারিত কোনো আলোচনা হয়নি। সময় আসলে আলোচনা হবে।